ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন বর্তমানে আধুনিক বিশ্বে
সর্বজন বিষয়।বাংলাদেশ্ও এর ব্যতিক্রম নয়।প্রযুক্তির আর্শীবাদে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবাদে এখন ঘরে বসেও অনেকে অর্থ উপার্জন
করছেন।কিন্তু,দক্ষতা,মেধা ও প্রযুক্তির সুয়োগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও
বাংলাদেশের কয়েক হাজার ফ্রিল্যান্সারকে এখনো আক্ষেপ করতে হচ্ছে।কারন
বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে নিরাপদ প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল যে
এখনো বাংলাদেশে বৈধতা পায়নি !
পেপ্যাল কি ?
ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল (
www.paypal.com)|eZ©gv‡b বিশ্বব্যাপী ২৩ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক রয়েছে
পেপ্যালের। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান ১৯০টি দেশে ২৪ মুদ্রায় লেনদেন করার
ব্যবস্থা চালু রেখেছে ।
প্রতিবন্ধকতা
ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে নিরাপদ প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল বাংলাদেশে
এখন পর্যন্ত বৈধতা পায়নি।যার ফলে অনলাইনে আউটসোর্সিয়ের কাজ করতে গিয়ে
অনেকেই নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন,যেমন-
১.পেপ্যালের বৈধতা না থাকায় বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টের কাছ
থেকে সরাসরি অর্থ আনতে পারেন না।ফলে তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইটের দ্বারস্থ হতে
হয়।উক্ত সাইটগুলোতে ১০% অথবা ১৫% ফি কেটে কেটে নেয়। এভাবে প্রতি ১০০০
হাজার ডলারের কাজের জন্য ১০০ ডলার নিয়ে যাচ্ছে আউটসোর্সিং সাইটগুলো। অথচ
পেপ্যালের বৈধতা থাকলে এখানে মধ্যবর্তী সাইটের কোন প্রয়োজন পড়তো না।
২.অসংখ্য প্রতিষ্ঠিত আউটসোর্সিং সাইট রয়েছে যেখানে শুধু পেপ্যালের
মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।পেপ্যাল বৈধতা না পাওয়ায় দরুন এসব সাইটে কাজের সুযোগ
হারাচ্ছে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সাররা।
৩. অর্থ লেনদেনের জন্য বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা অন্য যেসব পন্থা
Aej¤^b করেন সেগুলো অনেকের জন্যই জটিল,ঝামেলাপূর্ন ও ব্যয়বহুল।অর্থ
লেনদেনের জন্য ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার একটি নিরাপদ মাধ্যম।কিন্তু
প্রতিবার উত্তোলনের জন্য এখানে যে চার্জ কেটে নেয়া হয় তা অনেকের জন্যই
কষ্টসাধ্য ব্যাপার।এছাড়া আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে পাই্ওনার মাস্টার ডেবিট
কার্ডের সাহায্যে অনেকে অর্থ লেনদেন করে থাকেন।এই পদ্দতিতেও লেনদেনের জন্য
নির্দিষ্ট পরিমান ফি নেয়।এসব ফি অনেকের মোট উপার্জিত অর্থের একটি বিরাট
অংশ।
৪.পেপ্যালের কার্যকরী ভুমিাকায় বর্তমানে সারা বিশ্বে ই-কর্মাস একটি
প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।কিন্তু পেপ্যাল বৈধতা না পাওয়ার কারনে
বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা পুরোপুরি বিকশিত হতে পারছে না।যেমন,পেপ্যাল
বৈধতা পেলে বাংলাদেশের অনেক প্রযুক্তিপ্রেমী নিজের তৈরী ওয়েবসাইট থেকেই সহজ
প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পন্য বিক্রি করতে পারতেন।
অনিারাপদ অর্থ লেনদেনের পথ বৃদ্ধি
বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু না থাকার কারনে অনেকে ভিন্ন পথ Aej¤^b করতে
বাধ্য হচ্ছেন।পেপ্যালের সেবা দেয়ার জন্য অনেকে ওয়েবসাইট চালু করছেন।এসব
ওয়েবসাইট থেকে পেপ্যাল ব্যবহার করার জন্য বার্ষিক চার্জ্ও কেটে নেয়া হয়।
অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রবাসী AvZœxq¯^Rb বা বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগসাজশ
করে প্রবাস থেকে পেপ্যালের অ্যাকাউন্ট চালু করছে ।তারা পেপ্যাল ব্যবহারের
জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্তি অর্থ কেটে নিচ্ছে ।এভাবে অনেক সময়
অনেককে প্রতারিত হতে হচ্ছে ।তাই এই পদ্ধতিগুলো মোটেও নিরাপদ নয় ।
কষ্টে উপার্জিত অর্থ জলে
বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু না থাকায় অনেকেই বিদেশের ঠিকানা দেখিয়ে পেপ্যাল
অ্যাকাউন্ট চালু করে।কিন্তু পরবর্তীতে পেপ্যাল কতৃপক্ষ উক্ত ঠিকানার সত্যতা
না পেলে উক্ত অ্যাকাউন্টের সকল লেনদেন বন্ধ করে দেয়।যার ফলে অ্যাকাউন্টে
কোন অর্থ থাকলে তা আর ব্যবহারকারী সহজে উত্তোলন করতে পারে না।এভাবে
আউটসোর্সিয়ের কাজ করে পাওয়া অনেকের কষ্ট উপাজির্ত অর্থ যেন জলে চলে যাচ্ছে !
অনলাইনে প্রযুক্তিপ্রেমী ও ফ্রিল্যান্স্যারদের দাবী
পরকরুনাময় আল্লাহপাকের নামে শুরু করছি।আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
বাংলাদেশে পেপ্যাল চালুর দাবীতে প্পিসি হেলপলাইন ব্লগ সহ বিভিন্ন বাংলা
ব্লগে ব্লগাররা লিখছেন । বেশ কিছু কমিউনিটি পেজ্ও তৈরী করা হয়েছে ।এছাড়া
সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন সাইটে পেপ্যাল চালুর দাবীতে শুরু হয়েছে জনমত
গঠন।ফেসবুক ব্যবহারকারীরা পেপ্যাল চালুর দাবীতে গ্রুপ,পেজ তৈরী করছেন।এরকমই
একটি পেজ ’ফ্রিল্যান্স হেলপলাইন’।এই পেজে যোগ দিয়ে আপনিও তুলে ধরতে পারেন
বাংলাদেশে পেপ্যাল চালুর যৌক্তিকতাগুলো,পেজটির ঠিকানা-
www.facebook.com/freelancebd
বাংলাদেশে পেপ্যালের দাবী বাস্তবায়িত হোক
বাংলাদেশে পেপ্যালের বৈধতা- বর্তমানে বাংলাদেশের প্রযুক্তিপ্রেমী তরুন
সমাজ তথা ফ্রিল্যান্সারদের প্রানের দাবী।শোনা যাচ্ছে, পেপ্যাল কতৃপক্ষ নাকি
বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছে না।যদি তাই হয় তবে সরকারের
বিষয়টি গুরুত্বসহাকারে দেখতে হবে।পেপ্যাল কেন আসতে চাইছে না বা সমস্যাগুলো
কি কি সেগুলো নির্ধারন করে সরকারকে বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে এবং
অবিলম্বে বাংলাদেশে পেপ্যাল চালুর জন্য কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুনদের কাজের
প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।দক্ষতা,মেধা ও প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশের
হাজার হাজার তরুন এখন ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।কিন্তু সারা বিশ্বের
১৯০ দেশের ফ্রিল্যান্স্যাদের মতো সুযোগ পাচ্ছে না।কারন ১৯০টি দেশে
পেপ্যালের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে যে এখনো সে
ব্যবস্থা নেই !